শুক্রবার, ৪ মে, ২০১৮

আস্থাতে আস্থা


মাটি আর তাতে উৎপাদিত ফসলের সঙ্গে নিবিড় প্রেম কৃষকের। মাঠের অংকুরিত ফসল যেমন জানান দেয় তার খাদ্যের প্রয়োজনীয়তার কথা তেমনি, বিপর্যস্ত মাটিও বলে দেয়, তার শক্তি হারানোর যন্ত্রণা। মাটি তার সর্বস্ব উজাড় করে দেয় ফসলের পেছনে। আর আমরা তাকিয়ে থাকি সেই উৎপাদিত ফসলের দিকে। কিন্তু ফসলের ভালো বা মন্দের জন্য যে জননীর সবথেকে বেশী যত্ন করা প্রয়োজন যার অবদান সবথেকে বেশী , আমরা  সেই মাটির কথা খুব বেশি ভাবি না। কিন্তু যেসব কৃষক ভাইয়েরা নিবিড়ভাবে এই চিত্র উপলব্ধি করেছেন তারা সত্যিই ব্যাকুল হয়ে উঠেছেন।

কারণ বেশী ফলনের আশায় অধিক মাত্রায় রাসায়নিক সার আর কীটনাশকের যত্রতত্র ব্যবহারে ফলে মাটির গুণাগুণ প্রায় ধ্বংসের মুখে। শস্যের বাড়তি ফলন নেই, উৎপাদন খরচ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে , উধাও হয়েছে কৃষকের মুখের হাসি। এই যখন আমাদের দেশের অবস্থা তখন চাষাবাদেব ক্ষেত্রে ভার্মি কম্পোস্ট সারের বিকল্প নেই। ভার্মি কম্পোস্ট মাটির নিরাপদ স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ জরুরি। কেননা মাটিতে জল  ধারণ ক্ষমতা বায়ু চলাচলের জন্য মাটিতে ভাগ জৈব সার থাকা ভীষণ ভাবে প্রয়োজন, কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রে  দেখাযাচ্ছে রয়েছে মাত্র . ভাগ। তাই মাটিতে জৈব সারের প্রয়োজনীয়তা ভীষণ ভাবে দেখা দিয়েছে।

সমগ্র দেশের কৃষি জমির অবস্থা যখন এইরকম তখন, উত্তর চব্বিশ পরগনার রাজীবপুরে অবস্থিত একটি প্রতিষ্ঠান লীলা এগ্রোটেক প্রাইভেট লিমিটেড সকলকে আস্থার সাথে জমিতে আস্থা জৈব সার ব্যবহার করতে উৎসাহ প্রদান করে চলেছেন তাদের উৎপাদিত আস্থা ভার্মিকম্পোস্ট এবং আরো অন্নান্য সামগ্রী আজ সারা পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্রহ  ভারত ছাড়িয়ে বিদেশের বাজারে সমাদৃত

আস্থা ভার্মিকম্পোস্ট ব্যবহারের ফলে উৎপাদন ফসলের গুণাগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তুলনামূলকভাবে উৎকৃষ্ট বড় আকারের সবজি ফল উৎপাদন করতে পারছে| মাটির জল ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে কেঁচো সার ব্যবহারে সেচের জল কম লাগছে|  ক্ষারীয় লবণাক্ত মাটিতেও চাষাবাদ সম্ভব হইয়াছে| রোগ, পোকামাকড়ের   আগাছার উপদ্রব কমেগেছে| ফসলের বীজের অংকুরোদগম ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মাটির বুনট উন্নত হয়েছে। রাসায়নিক সারের চাইতে খরচ অনেক কম। পরিবেশকে রাখে দূষণমুক্ত।

শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

ছাদে বাগান করার উপকারিতা

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বাড়ির ছাদের উপর বাগান করা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অধিকাংশ বাড়ির ছাদের দিকে তাকালেই নানা রকম বাগান দেখা যায়, কিন্তু তার অধিকাংশই অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। যদি পরিকল্পিত উদ্যোগ নেয়া হয় তাহলে বাড়ির ছাদে শাক সবজি সহ যে কোনো ফুল ও ফলের গাছ ফলানো সম্ভব। লাউ, কুমড়ো, শশা, ঝিঙে, বরবটি, কলমিশাক, ডাঁটাশাক, পুঁইশাক সহ অন্যান্য শাকসবজি যেমন ফালানো যায় তেমনি আম, পেয়ারা, ডালিম, কামরাঙ্গা, কুল সহ অন্যান্য মৌসুমী ফলও উত্পাদন করা যায়। ছাদে যদি ঠিকমতো বাগান করা যায় তবে ওই বাগান থেকে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে উদবৃত্ত উত্পাদন আমরা বাজারে বিক্রি করে দিতে পারি, এর থেকে অতিরিক্ত উপার্জন সম্ভব বা চাষের খরচ উঠে আসে।

ছাদে বাগান করলে প্রতিদিন সকাল ও বিকাল গাছে জল দিতে হবে। সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে গাছের গোড়ায় জল না জমে। মাটির ধরণ জেনে যদি সঠিক ভাবে বাগান করা হয় তবে ছাদে যেকোন ধরনের গাছই জন্মানো সম্ভব। যদি কারো ৪-৫ কাঠা জমির উপর বাড়ির চাদ হয় এবং পরিকল্পিতভাবে বাগান করা যায় তবে পরিবারের চাহিদা পূরণ করেও বছরে প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকার ফল, মূল বা সবজি বিক্রি করা যায়।


আমরা যারা শহরে থাকি তারা ইচ্ছা করলেই কোনো বাগান করার জন্য জমি পাইনা, তাই বিকল্প হিসাবে আমরা ছাদকে কাজে লাগিয়ে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত উত্পাদিত শাক, সবজি বা ফল - মূল থেকে খুব সহজেই বিকল্প আয়ের পথ তৈরী করতে পারি। শুধু বিকল্প আয় না, জৈব প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা খুব সহজে বিষ যুক্ত রাসায়নিক সারের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের পরিবার কে বাঁচাতে পারি।

"Lila Agrotech Pvt. Ltd." Suprovat Appartment, P-476 Basunagar, Gate No.2, Madhyamgram, Kolkata-700129, West Bengal, India