বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গসহ
দেশের বিভিন্ন শহরে বাড়ির ছাদের উপর বাগান করা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অধিকাংশ বাড়ির ছাদের দিকে তাকালেই নানা
রকম বাগান দেখা যায়, কিন্তু তার অধিকাংশই অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। যদি
পরিকল্পিত উদ্যোগ নেয়া হয় তাহলে বাড়ির ছাদে শাক সবজি সহ যে কোনো ফুল ও ফলের গাছ ফলানো সম্ভব। লাউ, কুমড়ো, শশা, ঝিঙে, বরবটি, কলমিশাক, ডাঁটাশাক, পুঁইশাক সহ অন্যান্য শাকসবজি যেমন ফালানো যায় তেমনি আম, পেয়ারা, ডালিম, কামরাঙ্গা, কুল সহ অন্যান্য মৌসুমী ফলও উত্পাদন করা যায়। ছাদে যদি ঠিকমতো বাগান করা যায় তবে ওই বাগান
থেকে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে উদবৃত্ত উত্পাদন আমরা বাজারে বিক্রি করে দিতে পারি, এর
থেকে অতিরিক্ত উপার্জন সম্ভব বা চাষের খরচ উঠে আসে।
ছাদে বাগান করলে প্রতিদিন সকাল ও বিকাল গাছে জল দিতে হবে। সব সময়
খেয়াল রাখতে হবে যাতে গাছের গোড়ায় জল না জমে। মাটির ধরণ জেনে যদি সঠিক ভাবে বাগান
করা হয় তবে ছাদে যেকোন ধরনের গাছই জন্মানো সম্ভব। যদি কারো ৪-৫ কাঠা জমির উপর বাড়ির
চাদ হয় এবং পরিকল্পিতভাবে বাগান করা যায় তবে পরিবারের চাহিদা পূরণ করেও বছরে প্রায়
৪০-৫০ হাজার টাকার ফল, মূল বা সবজি বিক্রি করা যায়।
আমরা যারা শহরে থাকি তারা ইচ্ছা করলেই কোনো বাগান করার জন্য জমি পাইনা, তাই বিকল্প হিসাবে আমরা ছাদকে কাজে লাগিয়ে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত উত্পাদিত শাক, সবজি বা ফল - মূল থেকে খুব সহজেই বিকল্প আয়ের পথ তৈরী করতে পারি। শুধু বিকল্প আয় ই না, জৈব প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা খুব সহজে বিষ যুক্ত রাসায়নিক সারের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের পরিবার কে বাঁচাতে পারি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন